সম্প্রতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুতে তার জায়গাটি রয়েছে শূন্য। দাবি উঠেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে দেওয়ার। সে হিসেবে নাম উঠেছে ধর্ম মন্ত্রানালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে জাতীয় সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ফজলে রাব্বী বলেন, ১৯৯৬ সালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করে উন্নয়নের রূপকার হিসাবে ভূষিত হয়েছেন মাদানী। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট ত্রিশাল তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর জোর দাবি তিনি যেন রুহুল আমীন মাদানীকে ধর্মমন্ত্রী করে সর্বস্তরের মানুষের আশা পূরণ করেন।
তাঁতীলীগের সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান সুরুজ জানান, ত্রিশাল আসনটি নৌকার ঘাটি হিসাবে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ আসনে রুহুল আমিন মাদানী দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়ে আসনটি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে উপহার দিয়েছেন। এ আসনের সাধারণ মানুষ মাদানীকে ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
ত্রিশাল সদর ইউনিয়নে সতেরপাড়া গ্রামে জন্ম নেয়া রুহুল আমীন মাদানী ছাত্রজীবন থেকে অসাধারণ মেধা আর প্রজ্ঞা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। স্কলারশীপ নিয়ে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন তিনি এলাকার গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ত্রিশাল তথা বৃহত্তর ময়মনসিংবাসীকে। একজন সুরলাকণ্ঠী তেলাওয়াতকারী আর ওয়াজিনে কেরাম হিসেবে রয়েছে তার সুখ্যাতি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে জনপ্রিয় নেতা হিসাবে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
ত্রিশালে দলমত নির্বিশেষে আপামর জনতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট রুহুল আমীন মাদানীকে মন্ত্রী করে সর্বস্তরের মানুষের আশা পূরণের জোর দাবি জানিয়েছে।